এই সময়, এই জীবন
- Details
ফেলে আসা শীতে, একটা ছোট্ট টবে, একমুঠো সর্ষে ছড়িয়েছিলাম। জানুয়ারির শেষে, যখন স্থান সংকুলান না হওয়ায় গাছগুলি ছোটখাটো চেহারা নিয়েই বুড়ো হয়ে যেতে লাগল, তখন তাদের পাতা তুলে শাক করে খেলাম আর গুটিকয় ফুল সাজিয়ে রাখলাম ছোট্ট এক চীনেমাটির কাপে। সে ছিল জানুয়ারি মাসের শেষ। গত এক মাস ধরে, সেই জলের মধ্যে থেকেই, সেইসব সূক্ষ্ম কিন্তু সবল ডালগুলি শিকড় বের করেছে, ফুলগুলিকে ফলে পরিণত করেছে, সেই নখের থেকেও সরু ফল পরিপুষ্ট হয়ে উঠেছে,
- Details
রাশিয়া কেন ইউক্রেনকে আক্রমণ করল, সেই নিয়ে দিন দুয়েক আগে ইউটিউবে নানা খবর দেখছিলাম। এক জায়গাতে শুনলাম বলছে 'Euromaidan' ...'maidan' শুনে কৌতূহল হল। একটু নেট ঘাঁটলাম। জানলাম ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এর মাঝে রয়েছে এক বড় স্কোয়্যার। তার নাম Maidan Nezalezhnosti আক্ষরিক অর্থে "Independence Square"। এই জায়গাটা স্থানীয় মানুষদের কাছে maidan নামেই পরিচিত ।
- Details
গত মঙ্গলবার প্রথমবার কেওড়াতলা গেলাম। এই নিয়ে চারবার যাওয়া হল --- প্রতিবারই বিভিন্ন শ্বশান --- গড়িয়া, বৈদ্যবাটি, রাজপুর, কেওড়াতলা। বিভিন্ন চেহারা, বিভিন্ন অবস্থান, বিভিন্ন চরিত্রের হলেও, পরিষেবা এক। মাঝরাতের কথা অবশ্য জানিনা, কিন্তু ছোটবেলায় এবং বড়বেলায় পড়া কিছু 'ভয়াবহ' গল্পে যেসব গা ছমছম করা শ্বশানের বিবরণ থাকত--- মহানগরের মধ্যে, ঘোর বড়রাস্তার পাশে অবস্থিত এই সমস্ত শ্মশানে দিনে দুপুরে তো দূর, ভর সন্ধ্যাবেলাতেও অন্তত তেমন কিছুই মনে হওয়ার উপায় নেই ।
- Details
আমাদের সেই একেবারে ছোট্টবেলায়, এক একটা গ্রীষ্মকালীন রবিবার আলাদা হত। সকালবেলার পড়াশোনা আর রেডিওতে 'শিশুমহল' শোনা হয়ে গেলে, ছুটি ছুটি মেজাজ হত। বাবা বাজার থেকে ফিরে আসতেন বিজলীগ্রীলের চারটে ছোট মাপের বোতল নিয়ে। সেটা বোধ হয় ছিল সোডা ওয়াটার। আমাদের বাড়িতে অন্য যাবতীয় রঙিন, এরিয়েটেড পানীয় নিষিদ্ধ ছিল। এইটা সাদা এবং বাঙালি বলেই বোধ হয় কালেভদ্রে, মানে গ্রীষ্মকালে মাসে হয়ত একবার ঢুকত। বাইরে ততক্ষণে দিনের তাপমাত্রা বেড়ে শোঁ শোঁ লু বইতে শুরু করেছে। আমাদের দেশলাইবাক্সের মত ছোট্ট কোয়ার্টারের গুটিকয় জানলা বন্ধ করে দেওয়া হত গরম এড়াতে।
- Details
হিন্দুস্থান কেব্ল্স্ হাই স্কুলের কাজ থেকে বাবা অবসর নেন ২০০০ সাল নাগাদ। বাবা কিছুদিন পরে ঠিক করলেন কম্পিউটার শিখবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক মানুষ হিসাবে এই যন্ত্রটি সম্পর্কে বাবার স্বাভাবিকভাবেই ঔৎসুক্য ছিল। তাঁদের কর্মজীবনকালে নানাবিধ কারণে এই রাজ্যে কম্পিউটার আসতে আসতেও আসেনি, সেটা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত ছিলেন।
- Details
যে কারণে এই পোস্ট-এর অবতারনা, সেই কথাতে শুরুতেই আসি। সঙ্গের ছবিটি এই মাসে ইচ্ছামতীর সম্পাদকীয়-এর সঙ্গে প্রকাশিত হল। গত ২১ তারিখ রাতের দিকে এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার পর পরই, দুইজন বন্ধু অনুমতি চান, ছবিটি নিজেদের প্রোফাইল কভার বানানোর জন্য। আমাদের ভাবনার সঙ্গে আরও কিছু বন্ধুর ভাবনা মিলে গেছে --- এইটাই আমাদের পরম প্রাপ্তি। এই অভূতপূর্ব সময়ের একটুকরো দলিল হয়ে থাক ইচ্ছামতীতে প্রকাশিত এই ছবি, সঙ্গে দুচারটে কথা --- এইটুকুই আমাদের ক্ষমতা। আর এমন অভিজ্ঞতা যখন হল, তখন ছবিটি নিয়ে, এবং ছবির শিল্পীকে নিয়ে অল্প লিখতে ইচ্ছে হল।
- Details
( বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এটি একটি অতিদীর্ঘ পোস্ট--- বৃষ্টিভেজা রথের দিনের মতই অল্প জল-কাদা মাখা, এবং শুরুতে মুচমুচে হলেও শেষে বাসী পাঁপড়ভাজার মত কিঞ্চিৎ ন্যাতানো। তাই নিজের বহুমূল্য সময় ব্যয় করে যদি পড়েন, এবং পড়ার পরে মনে হয় কোনোভাবে আপনার মন এবং মগজ সংক্রমিত হতে পারে, ভুলে যাবেন না - নিজ নিজ স্যানিটেশন, নিজ নিজ দায়িত্বে। )
- Details
বাড়ি থেকে শেষ বেরিয়েছি ২১শে মার্চ সন্ধ্যেবেলা। সেদিন আমাদের পাড়ার বাজারে , রাস্তায়,কোনো মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। আমারও ছিল না। ঘন্টাখানেকের জন্য অদ্ভূত আতংকের মধ্যে থেকে বাড়ি ফিরেছিলাম দরকারি কিছু জিনিষ কিনে। ঋতুপরিবর্তনের ফলে স্বাভাবিক গলা খুশখুশ করল। আমি বোধহয় সংক্রমিত হয়েছি --- এমন আতংকে খানিক্ষণ বুক ধড়ফড় করল। ধীরে ধীরে নিজেকে শান্ত করলাম। আমার কিছু হয়নি।
সেই একবিন্দু আপেক্ষিক শান্তি নিয়েই ঘরবন্দী হয়ে রয়েছি গত ...কতদিন? হিসাব থাকছে না। বাইরের যেটুকু বাজার করার দরকার, করে আনছে আমার ভাই। আমাকে বেরোতে দিচ্ছে না বা আমায় বেরোতে হচ্ছে না - ব্যাপারটাকে দুইভাবেই দেখা যায়। আরও বেশ কিছু আপাত 'প্রিভিলেজ' এর সঙ্গে এটাও আমার ব্যক্তিগত 'প্রিভিলেজ'।
- Details
সকাল থেকে একটা লেখা হোয়াটস্যাপে ঘুরে আসছে, ফেসবুকেও দেখলাম। সেই 'কবিতা' করোনার আতঙ্কে বাঙালির বাজার করা নিয়ে। তার শুরুর দিকে গুচ্ছ বাজার করার বিস্তৃত বিবরণ দেখে এই দুঃসময়ে বিবমিষা জাগছে। সেই সৃজনশীল লেখার শেষ চার লাইন হলঃ
- Details
সারাদিন ধরে কানে/চোখে আসা বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য, বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দুয়েকটি সরাসরি পড়িনি বা টিভিতে দেখিনি,তবে শুনেছি আস্থাভাজন মানুষদের থেকে, বা পড়েছি বিশ্বাসযোগ্য মানুষদের লেখায়।
- Details
( বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ দীর্ঘ, আশঙ্কিত এবং সমাধানবিহীন পোস্ট)গত সপ্তাহে বৈদ্যবাটিতে, গঙ্গার ধারে যখন পিসতুতো ভাইয়ের বিয়ের আনন্দে হইচই করছি আর দেদার ছবি তুলছি, এমন সময়ে, সল্ট লেক সেক্টর ফাইভের এক প্রথমসারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত আরেক ভাই জানাল, তার অফিসে সোমবার থেকে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' জারি করা হয়েছে। এতদিন চীনে আছে, জাপানে আছে, ক্রুজ শিপে আছে, ইতালিতে আছে করতে করতে করোনা ভারতেও এসেছে এসেছে হচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে এই খবরে একটু অবাক হয়েছিলাম বৈকি। কিন্তু পুরোপুরি বিশ্বাস করিনি। রবিবার দিব্যি লোকাল ট্রেনে ভীড়ভাট্টার মধ্যে কলকাতায় ফিরলাম। বিয়েবাড়ির অনিয়মের ফলে শরীর একটু গোলমাল করাতে সোম-মঙ্গলবার খানিক ঝিমিয়েই ছিলাম। চার-পাঁচ দিন একেবারেই কাজকম্মো করিনি, সেসব শুরু করার চেষ্টা করছি সবে।
- Details
বছর তিনেক আগে আমাদের বাড়িতে পুনে থেকে আসেন আমার ভাইয়ের বন্ধু প্রদীপ। প্রদীপের উদ্যোগে আমাদের পাঁচতলার ফ্ল্যাটের ছোট্ট বারান্দায় গোটা কয়েক মাটির টব বসিয়ে মিনি কিচেন গার্ডেন করার পরিকল্পনা করে আমার ভাই। ব্যাপারটা আমার মোটেও পছন্দ ছিল না। আমাদের বারান্দা উত্তর-পশ্চিমমুখী, ভালো রোদ পায় না, এখানে গাছ হওয়ার অসুবিধা আছে। তাই খুব গজগজ করেছিলাম- কে দেখবে, কে যত্ন নেবে এইসব আর কী। তারপরে গত তিন বছরে টুকটুক করে কম শাক-সবজি চাষ করলাম না! যেটা হয়েছে, সেটাকে চাষ বলে না, সেটাকে শখ বলে।
- Details
রাতের দিকে বাজার করতে গেছনু। আমাদের পাড়ার পছন্দের সবজী-বালকটি রাত আটটার পরে তার দোকান সাজিয়ে বসতে পছন্দ করে। হেব্বি বুদ্ধিমান। অফিস-করে-কেলিয়ে-পড়া জনগণকে বাড়িতে ঢোকার পথে খপ করে ধরা যায়, ঝপাঝপ আলু-পটল-বেগুন-টমেটো বিক্রি হয়ে যায়। কেউ বেশি দরাদরী করার মত উৎসাহ রাখে না। তাই তাকে ধরতে গেলে গোধূলী লগ্নে হাতে চাট্টি থলে নিয়ে বেরোলে চলে না, সান্ধ্য লগ্ন পার করে বেরোতে হয়। যাইহোক, তার কাছে দাঁড়িয়ে আলু-পটল ইত্যাদির হিসেব নিকেশ করতে করতে শুনতে পাচ্ছিলাম পাড়ার মোড় থেকে মাইকে অনর্গল ঘোষণা- বম্বে খ্যাত সিল্পি গান গাইবেন, কারা যেন বিখ্যাত নাচ করবেন ইত্যাদি পোভিতি। কেন, সেটা বলাই বাহুল্য- এটা হল মাই ফ্রেন্ড গানেশা উইক। মোড়ের মাথায় প্যান্ডেলে ইয়াব্বড় বক্রতুন্ড মহাকায় সূর্যকোটি সমপ্রভঃ হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন... ( আইব্বাশ! টিভিতে শুনে শুনে একটা লাইন গোটা ঠিক মুখস্থ করে লিখেও ফেললাম); তো সেই গণপতি বাপ্পার অনারে সাতদিন ধরে সন্ধেতে ওইসব গান বাজনা ইত্যাদির ব্যবস্থা।
- Details
আজ মোড়ে ঠাকুর ভাসানের জন্য বেজায় ভীড়। তার মধ্যেই কারা যেন খিচুড়ি প্রসাদ বিলি করছে, কেউ কেউ খুব মন দিয়ে তাই খাচ্ছে। তার থেকেও বেশি মন দিয়ে আইসক্রীম, ফুচকা, চাউমিন, মোমো ইত্যাদি খেয়ে চলেছে আরোও লোকজন। নানা মাপের ম্যাটাডোরে নানা মাপের কালীমাতা ঠাকুরানি সিঁদুর লেপিত সন্তান-সন্ততি সহ আবির্ভূত হচ্ছেন। দুম দাম চকোলেট বোমা ফাটছে। মধ্যেখানে হঠাৎ ট্যাং ট্যাং করে ঘন্টা বাজিয়ে দৌড় দিল একখানা দমকলগাড়ি- কোথায় আবার আগুন লাগল কে জানে ! দমকল স্টেশনের উল্টোদিকে পাড়ার সব থেকে বড় মা এখনও ডায়াস ছেড়ে নামার চেষ্টাই করেন নি, শেষ রাতে নামবেন মনে হয়। তাঁর সামনে দলবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে তাঁর সুসজ্জিত সন্তান-সন্ততিরা তাঁকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে গ্রুপি তুলছেন। সব মিলিয়ে মেলাই মেলা আর কী !
- Details
বেশ কয়েক বছর আগে, বিরিয়ানি রান্না করার জন্য ভালো মশলার খোঁজ করতে করতে গিয়ে ঢুকেছিলাম হগ মার্কেটে - সেখানে নাকি পাকিস্থান থেকে আমদানি করা খুব ভালো সব মুঘলাই রান্নার মশলা পাওয়া যায়। জন্মে থেকেই রাষ্ট্রযন্ত্র এবং জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার দৌলতে জেনে আসছি পাকিস্থান আমাদের পরম শত্রু, এবং যে ধর্মাবলম্বীরা পাকিস্থানের সংখ্যাগুরু, আর এদেশে থেকেও (না কি) সর্বদা পাকিস্থানকে সর্ব বিষয়ে সমর্থন করে, তারা সব্বাই বেজায় খারাপ লোকজন ( কারণ তারা এটা-ওটা খায় যেটা নাকি খাওয়া উচিত না, এরকম -ওরকম পোষাক পরে যেগুলো পরা উচিত না, এটা ওটা করে যেগুলো করা উচিত না, আর তারা নাকি সব্বাই সবসময়ে কাশ্মীরকে ভারতের থেকে কেড়ে নেবে বলে কুমতলব আঁটছে ) । তাই বলে আমিশাষী ভারতীয়রা বিরিয়ানি-কাবাব-পরোটা-রেজালা ইত্যাদি খাবেনা পণ করেছে, এমন কথা কোনোদিন শুনিনি, এমন কথা তো কোনোদিনও মাথায় আসেনি, কেউ একুশে আইনও জারি করেনি, তাই তখন পাকিস্থানি মশলা খুঁজতে যাওয়াটাও দেশদ্রোহীতার পর্যায়ে পড়তে পারে- এমন আজগুবি চিন্তা দুঃস্বপ্নেও আসেনি- কিন্তু আজকের পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে এমন হুজুগ কোনো দেশপ্রেমী তুললে অবাক হব না।
- Details
শিক্ষক দিবসের সারাদিন ফেসবুকজুড়ে পোস্টগুলো প্রতিবছর পড়তে পড়তে বড়ই হীনমন্যতায় ভুগি। সব্বাই নিজেদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্কে কত ভালো ভালো কথা লেখে। পড়ে মনে হয় এদের জীবনে কী সুখ...।এদের স্কুলে একজনও পচা দিদিমণি বা স্যার ছিলেন না। কেউ একটা খারাপ কথা লেখে না। সব্বাই লেখে তারা কতজন, কতরকমের শিক্ষকের কাছ থেকে কত কী পেয়েছে। অথচ আমি এক পাজি, আমার স্কুল -কলেজ বললেই আগেই সেই মুখ গুলো মনে পড়ে,যাদের নিয়ে কিছু না কিছু একটা গপ্পো আছে, এবং সেই গপ্পোগুলি কোনোটাই খুব উৎসাহব্যঞ্জক নয়। আমাকে জীবনকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে একেবারে খোলনলচে পাল্টে দিয়েছেন, এমন শিক্ষকের নাম বা মুখও সহজে মনে পড়ে না, সেটাও আমারই কৃতঘ্নতা নির্ঘাত।
- Details
গত মঙ্গলবার 'জগগা জাসুস' দেখতে গেছিলাম। ফিল্মটা দেখে কেমন লাগল, শুধুমাত্র সেই নিয়ে বিশ্লেষণী মতামতের জন্য এই লেখা নয়। তার সাথে লেখাটা আরো অন্যান্য অনেক কিছু নিয়ে। হঠাৎ সিদ্ধান্তে কিংবা প্রচুর ভাবনা চিন্তা করে, যেভাবেই হোক না কেন, ফিল্ম দেখতে যাওয়া মানে তো আর শুধু ফিল্মটা নয়, তার আগে পিছে ডাইনে বাঁয়ে সবকিছুই আমার কাছে সমানভাবে আকর্ষণীয়। বাজারে গেলে সব্জীর থেকে সব্জীওয়ালি মাসির সংসারের গপ্পে বেশি মন দিই, রেস্তোঁরায় খেতে গেলে নিজের পাতের চেয়ে অন্য টেবিলগুলির ছোট ছোট যে সব গল্পগুলি তৈরি হচ্ছে তাতে বেশি মন থাকে। সুধী পাঠক, এই অতিদীর্ঘ পোস্ট পড়া শুরু করার আগে তাই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেওয়া রইল। শেষে গিয়ে রেগে গেলে আমি দায়ী নই।
- Details
সন্ধ্যেবেলা বাজার করে ফিরছিলাম। বাড়ির কাছাকাছি কয়েকটা খুদে ঘিরে ধরল।
"সস্সোতি পুজো করব, চাঁদা দাও না"
"আমাদের হাউজিং -এই তো পুজো হচ্ছে, সেখানে চাঁদা দিয়ে দিয়েছি, আর দেব না..." - কাটানোর চেষ্টা করে বললাম
"আমাদের দাও না, চাঁদা দাও না"
"কোথায় পুজো হবে তোদের?"
"এই তো পেছনের রাস্তায়...দাও না কাকিমা"
- Details
সকালবেলা ফুলঝাড়ু কেনার জন্য পাড়ার নিয়মিত ফেরিওয়ালাকে ডাক দিলাম। তিনি তাঁর বিভিন্ন রকমের ঝাড়ুর সমাহার নিয়ে এলেন। একটা ঝাড়ু কেনা হল। সাথে হল একটু কথাবার্তা। তিনি মগরাহাটে থাকেন। রাত তিনটেতে ঘুম থেকে উঠে, এক ঘন্টা পায়ে হেঁটে স্টেশনে এসে ট্রেন ধরে মহানগরে আসা। তারপর পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ফুলঝাড়ু, ঝুলঝাড়ূ বিক্রি। বেলা তিনটে -সাড়ে- তিনটে নাগাদ বাড়ি ফেরা। তারপরে ক্ষেতের কাজ।ওনার তিন সন্তান। বড় ছেলে বি.এ. থার্ড ইয়ারে পড়ে।পরের ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক দিল এবার। মেয়ে ছোট, পড়ে ক্লাস এইটে।
- Details
আজ রাখী পূর্নিমা।
আজকের দিনে ভাইয়ের হাতে রেশমি সুতোর দড়ি বেঁধে বোন তার দীর্ঘজীবন কামনা করে। ভাই বোনের অটুট বিশ্বাস আর নির্ভরতার প্রতীক হয়ে থাকে ছোট্ট রাখী।
ভাইয়ের জন্য রাখী কিনতে গেছিলাম। আজকাল বাজারে এত ধরনের রাখী যে বেশ ধন্ধে পড়ে যেতে হয় - নানা রঙের সুতো - কোনটা সুতি, কোনটা রেশমি, কোনটা জরি; মাঝখানে ছোট বড় নানা আয়তনের নানারকমের মোটিফ - তুলসী কাঠের ছোট্ট ফুল থেকে শুরু করে টেরাকোটার গনেশ অবধি সবই আছে। যার যেরকম রুচি, যেরকম পছন্দ বা বাজেট , সেই অনুযায়ী কিনে নিলেই হল।