সিনেমা দেখার পরে

- Details
‘পরিক্রমা’ নর্মদা নদীর প্রবাহ, এই নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ এবং তার ফলে হওয়া সুবিধা বা অসুবিধাগুলি বিষয়ে তত্ত্ব বা তথ্যের ভারে আক্রান্ত ছবি নয়। সে সমস্ত কিছু নিয়ে বিশদে বা এমনকি সংক্ষেপে নিরপেক্ষ আলোচনা করারও জন্যেও দুই ঘন্টা খুবই কম সময়। তবে, নদীবাঁধ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত উন্নয়নের কাহিনির বদলে, পরিচালক গৌতম ঘোষ অবশ্যই প্রদীপের তলার অন্ধকারের দিকেই খানিক আলো ফেলতে চেয়েছেন।

- Details
বঙ্গদেশের 'বাবুসোনা' এবং ' সোনা মেয়ে'-দের লিমিটেড উচ্চতা ও ওজন দেখে দেখে অভ্যস্ত আমার চোখে এমন দামড়া ছেলেপুলেদের ক্লাস টুয়েল্ভ্ মেনে নিতে বেশ চোখে লাগে। হতেও পারে, ভারতের পশ্চিমপারের ছেলেপুলেরা হোলসেলে চেহারায় বড়োসড়ো হয়, সেটাতে অভ্যস্ত নই বলেই চোখে লাগে। অবশ্য ভুঁড়িওয়ালা নায়কদের কলেজ ছাত্র হয়ে নাচতে-প্রেম-করতে-মারপিট করতে দেখে আমরা অভ্যস্ত।

- Details
কী আছে এই গল্পে, যার জন্য এই ছবিটি পেল এক আন্তর্জাতিক পুরস্কার, বা তার আগে নির্মাণের জন্য পেল একাধিক গ্রান্ট? এই ছবির প্রেক্ষাপট মুম্বই শহর --- ড্রিম সিটি --- যেখানে নিজের স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে ভীড় জমায় এই দেশের সব প্রান্তের মানুষ। মুম্বইয়ের কসমোপলিটান চরিত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই ছবিতে হিন্দি, মারাঠি, মালয়ালি, ইংরেজি --- সব ভাষারই সহজ সমাগম; সঙ্গে ডিজিটাল কথোপকথনও স্ক্রিনে ভেসে ওঠে । এই ছবির মুখ্য চরিত্র প্রভা, অনু আর পার্বতী, মুম্বইয়ের এক সরকারি হাসপাতালে কর্মরতা তিন বিভিন্ন বয়সী নারী। তাদের তিনজনের জীবনের সমস্যা আলাদা, চাহিদা আলাদা। তাদের জীবনবোধও একে অপরের থেকে ভিন্ন।

- Details
‘জুটোপিয়া’ - সে এক জবরদস্ত বিশাল শহর। শহর না বলে মহানগর বলাই ভালো। কী নেই সেখানে! আকাশছোঁয়া বাড়িঘর, বড়ো বড়ো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, জাদুঘর, স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস, শপিং মল, দারুণ উন্নত সব পরিবহন ব্যবস্থা... বলে শেষ করা যাবে না। তা এই দারুণ গোছানো আধুনিক শহরে কিন্তু একজনও মানুষ থাকে না। তাহলে কারা থাকে? থাকে এই দুনিয়ার সবরকমের স্তন্যপায়ী প্রাণী - বিশাল বপু হাতি থেকে শুরু করে তোমার বুড়ো আঙুলের থেকেও ছোটো ইঁদুর, সবাই শান্তিপূর্ণভাবে জুটোপিয়াতে বসবাস করে।

- Details
গত মঙ্গলবার 'জগগা জাসুস' দেখতে গেছিলাম। ফিল্মটা দেখে কেমন লাগল, শুধুমাত্র সেই নিয়ে বিশ্লেষণী মতামতের জন্য এই লেখা নয়। তার সাথে লেখাটা আরো অন্যান্য অনেক কিছু নিয়ে। হঠাৎ সিদ্ধান্তে কিংবা প্রচুর ভাবনা চিন্তা করে, যেভাবেই হোক না কেন, ফিল্ম দেখতে যাওয়া মানে তো আর শুধু ফিল্মটা নয়, তার আগে পিছে ডাইনে বাঁয়ে সবকিছুই আমার কাছে সমানভাবে আকর্ষণীয়। বাজারে গেলে সব্জীর থেকে সব্জীওয়ালি মাসির সংসারের গপ্পে বেশি মন দিই, রেস্তোঁরায় খেতে গেলে নিজের পাতের চেয়ে অন্য টেবিলগুলির ছোট ছোট যে সব গল্পগুলি তৈরি হচ্ছে তাতে বেশি মন থাকে। সুধী পাঠক, এই অতিদীর্ঘ পোস্ট পড়া শুরু করার আগে তাই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেওয়া রইল। শেষে গিয়ে রেগে গেলে আমি দায়ী নই।

- Details
শিমূলগড় গ্রামের রহস্যময় কান্ডকারখানা গুলো কেন ঘটছে? গগন সাঁপুইয়ের বাড়িতে যে ধরা পড়ল সে কি সত্যি চোর? জঙ্গলের মধ্যে কাকে খুঁজে পেল অলঙ্কার?

- Details
গত সপ্তাহে প্রিয়া প্রেক্ষাগৃহে দেখতে গেছিলাম 'নৌকাডুবি'। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মসার্ধশতবর্ষে ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত এই ছবিটি সুভাষ ঘাই এর নিবেদন। প্রধাণ চরিত্রগুলিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্ত, রাইমা সেন এবং রিয়া সেন।'নৌকাডুবি ' উপন্যাসটি আমি পড়েছিলাম আজ থেকে বছর কুড়ি আগে। তাই কাহিনীর সারাংশটুকু ছাড়া আর বিশেষ কিছুই মনে ছিল না। আর মনে ছিল কিছু টুকরো টুকরো অংশ। ছবিটা দেখে ইস্তক মনে হচ্ছিল কিছু কিছু জায়গা যেন মিলছে না। কৌতূহল ক্রমশঃ বেড়ে উঠছিল পরিচালক গল্পটিকে কিভাবে পরিগ্রহণ/ adapt করেছেন সেই বিষয়ে।

- Details
ঘোর বসন্তে হটাত করে বিদায় নিল এক যৌবনের দূত। সার্থক, সফল, উজ্জ্বল কপিরাইটার সিদ্ধার্থ। পেছনে ফেলে রেখে গেল অজস্র স্মৃতি। যে স্মৃতি অনবরত নাড়া দিয়ে চলেছে তিনটি মানুষকে। আরতি, সাহানা আর অর্নব। সম্পর্কের ত্রিমাত্রিক বহুভূজে, তিনটি বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি মানুষ। সিদ্ধার্থের সাথে তাদের তিনজনের তিনরকমের সম্পর্ক।ব্যবহার করা বেডশীট, অ্যাকুয়ারিয়ামের রঙিন মাছ, ফ্রিজে পড়ে থাকা শেষ ডিম, অফিসের সফ্টবোর্ডে আটকানো ছবি, মোবাইলে মকশো করা চিঠি, ফেসবুকের মেসেজ, আর আরো অনেক টুকরো টুকরো স্মৃতির হাত ধরেই তারা চেনেন একে অপরকে, আর হয়ত আরেকবার নতুন করে চেনে্ন সিদ্ধার্থকে।সঞ্জয় নাগ নির্দেশিত ‘মেমরিজ ইন মার্চ’ এ মূল চরিত্রগুলিতে অভিনয় করেছেন দীপ্তি নাভাল, ঋতুপর্ন ঘোষ, রাইমা সেন। অনেকদিন পরে দীপ্তি নাভালকে পর্দায় দেখে খুব ভাল লাগল।