প্রবন্ধ
- Details
সাধারণ ভাবে আমাদের জনমানসে এমনই এক ধারণা প্রচলিত আছে যে 'রামায়ণ' - সেটা যে ভাষাতেই এবং যে সময়েই প্রকাশিত হয়ে থাকুক না কেন, সেটি হল বাল্মিকী রচিত রামায়ণের সরাসরি অনুবাদ। রামায়ণের কাহিনির কোনো দ্বিতীয় দৃষ্টিকোণ থাকা সম্ভব নয়। অধ্যাপক রামানুজন এই প্রবন্ধে বাল্মিকী রচিত সংস্কৃত রামায়ণ, কম্বন রচিত তামিল রামায়ণ এবং থাই ভাষায় রচিত একটি রামায়ণের তুলনামূলক আলোচনা করেন এবং দেখান কীভাবে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে, 'রামায়ণ'-এর একাধিক রূপ দেখতে পাওয়া যায়।
- Details
আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটা টেপ-রেকর্ডার ছিল। বাবার শখ ছিল নানাধরনের গান শোনার। একদিন বাবা বাজার থেকে কয়েকটা ক্যাসেট নিয়ে এলেন। সেগুলি গানের নয়। সেগুলির ওপরে ছিল এক চেনা মুখের ছবি। বড় বড় চোখ, লম্বাটে গঠন, আর এক অদ্ভূত মজাদার নির্মল হাসি। তিনি আমাদের চেনা। বাড়িতে বাংলা এবং হিন্দি ছবি দেখার ব্যাপারে ঘোরতর নিষেধাজ্ঞা ছিল, কিন্তু তা সত্বেও তাঁকে আমরা চিনতাম, কারন তাঁর অভিনয় করা অনেক ছবিই আমাদের দেখতে দেওয়া হয়েছিল। ক্যাসেট চালানো হল। বাঙাল ভাষায় অভাবনীয় সেই উপস্থাপনা শুনতে শুনতে কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের সবার হাসতে হাসতে দম ফেটে যাওয়ার উপক্রম। বলা যেতে পারে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই আমার প্রথম সত্যিকারের পরিচয়, এবং বাঙাল ভাষার সঙ্গে প্রথম ভালবাসা।