আজ বিশ্বকর্মা পুজো। কিন্তু কেমন বোকার মত ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। এমন হলে মানুষ ঘুড়ি ওড়াবে কেমন করে?
ওয়ান্স আপন আ টাইম, লং লং এগো, এক বিশ্বকর্মা পুজোর সকালে আমাদের ছোট পিসেমশাইয়ের সঙ্গে আমরা হিন্দুস্থান কেব্ল্স্ কারখানার বিশ্বকর্মা পুজো দেখতে গেছিলাম। বাবা, মা, বড় পিসেমশাই-এর এক্তিয়ারে স্কুল। সেখানে সরস্বতী পুজোর দিন আমাদের অবাধ গতি। কারখানা শুধুই ছোট পিসেমশাই-এর এক্তিয়ার। তবে কারখানা ভ্রমণ জীবনে ওই একবারই হয়েছিল।
একটা রিকশায় আমরা চার ভাই বোন- আমি, আমার ভাই, ভাইয়ের কোলে তার থেকে বছর দেড়েকের ছোট আমাদের পিসতুতো ভাই ( আমার বড় পিসির ছেলে) আর আমার কোলে ছোটপিসির ছোট্ট মেয়ে। আমি বোধহয় তখন ক্লাস ফাইভ। কোলের বোনটি বছর আড়াই থেকে তিন। রিকশার পাশে পাশে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন ছোট পিসেমশাই। এই দৃশ্যটা চোখে লেগে আছে।
তারপরে কারখানায় ঢুকে একের পর এক ডিপার্টমেন্টে ঠাকুর দেখা আর প্রসাদের প্যাকেট পাওয়া। একেবারে শেষে পিসেমশাই-এর নিজের ডিপার্টমেন্ট 'কপার প্লাই' তে গিয়ে একটু ছাড়া পাওয়া, একটু বেশি আদর যত্ন পাওয়া। তারপরে আবার দুপুরের ভাত খাওয়ার আগে সেই রিকশায় চেপে , গরমে ঘেমে নেয়ে বাড়ি ফিরে আসা। সঙ্গে পাশে পাশে সাইকেলে পিসেমশাই।
বিশ্বকর্মা পুজো এলেই আমার সেই রোদ ঝলমল, উত্তেজনায় ভরপুর সকালটার কথা মনে পড়ে।
বলাই বাহুল্য, সেই কারখানা থেকে পাওয়া একগাদা প্যাকেটের শোনপাপড়ি, তেকোণা নিমকি, বোঁদে, ক্ষীরকদম, গজা ইত্যাদি বেজায় ভালো খাবারগুলো পরের কয়েকদিন ভাগে ভাগে স্কুলের টিফিনে গেছিল।