বৈশাখী হাইকু
উষ্ণ সাঁঝবেলা
ধুয়ে মুছে শীতল করল -
কালবৈশাখী।
জৈষ্ঠ্যের হাইকু
ঝিম ধরা দুপুর;
রোদ তাতায় শীতল দিঘী ;
আম পাকল গাছে।
রোদ তাতায় শীতল দিঘী ;
আম পাকল গাছে।
আষাঢ়ের হাইকু
ঝির ঝির ঝির টুপ টাপ;
জল ভরা মেঘ ভেসে যায়-
এসেছে আষাঢ়।
জল ভরা মেঘ ভেসে যায়-
এসেছে আষাঢ়।
শ্রাবণের হাইকু
এসেছে শ্রাবণ।
ফোটে যুথী, কুন্দ আর-
প্রথম কদমফুল ।
ফোটে যুথী, কুন্দ আর-
প্রথম কদমফুল ।
ভাদ্রের হাইকু
বৃষ্টি থেমেছে।
মেঘ রোদের লুকোচুরি-
নদীর জলেতে।
মেঘ রোদের লুকোচুরি-
নদীর জলেতে।
আশ্বিনের হাইকু
ফুটেছে পদ্ম;
সন্ধ্যাতে ভেসে আসে-
শিউলির সুবাস।
সন্ধ্যাতে ভেসে আসে-
শিউলির সুবাস।
কার্তিকের হাইকু
হিম ঘেরা সাঁঝে
ঝরছে শুকনো পাতারা-
এল হেমন্ত।
ঝরছে শুকনো পাতারা-
এল হেমন্ত।
অগ্রহায়ণের হাইকু
শিরশিরে বাতাস;
মূলো, পালং, ফুলকপি-
রোদকাঁথা ঢাকা;
মূলো, পালং, ফুলকপি-
রোদকাঁথা ঢাকা;
পৌষের হাইকু
টুপটাপ হিম ঝরে;
রঙিন ফুলেরা হাসে-
কনকনে শীতে।
রঙিন ফুলেরা হাসে-
কনকনে শীতে।
মাঘের হাইকু
উত্তুরে হাওয়া;
গাছগুলি কেঁপে ওঠে-
পাতা ঝরে যায়।
গাছগুলি কেঁপে ওঠে-
পাতা ঝরে যায়।
ফাল্গুনের হাইকু
দখিণ বাতাস বয়;
লাল হল কৃষ্ণচূড়া-
এল বসন্ত।
লাল হল কৃষ্ণচূড়া-
এল বসন্ত।
চৈতালি হাইকু
ফুটেছে কলি;
চৈতি বাতাসে দোলে-
মাধবীলতা।
চৈতি বাতাসে দোলে-
মাধবীলতা।