হেঁটমুন্ড বাদুরের মত মিলের রংচঙে ফুল-ছাপ-তোলা প্রত্যঙ্গবিহীন নিস্পৃহ রাতপোষাকগুলি হাওয়ায় দোলে;
প্রাচীন এবং দুর্মূল্য আইভরির মত হলদেটে অন্তর্বাস, ফ্যাকাসে গামছার আড়ালে নিভৃতি খোঁজে;
ডাক পড়লেই দিতে হবে কাঁধ; শ্রমিক কিংবা সৈনিকের মত, স্থির দোদুল্যমান এক সারি হ্যাঙ্গার প্রস্তুত থাকে;
সুযোগ পেলেই বাতাসকে নেবে এক হাত- জীর্ন ঝুড়ি ভরা কিছু গাঁট্টাগোট্টা প্লাস্টিকের ক্লিপ সাগ্রহে অপেক্ষা করে;
তাদের নিজস্ব কোণে, কোমরে চোট পাওয়া ক্লান্ত বালতি, ময়লা ন্যাতার সাথে নুন-পান্তার গল্প করে;
সারি দেওয়া ক'টি শৌখিন টবে বিশ্রাম নিতে নিতে কিছু বয়স্ক পাতাবাহার, জল-আলো-বাতাসের গুণমান নিয়ে জোরদার বিশ্লেষন চালায়;
তিরতিরে চারাগাছগুলি কুচো শামুক আর পিঁপড়েদের সাথে সখ্য পাতাতে ব্যস্ত থাকে ;
আর নিজেকে আবিষ্কার করার রোমাঞ্চে সদা বিহ্বল, নতুনের আকর্ষণে ক্রমশঃ অচেনা পথে এগোয় তিনটি সদ্যকিশোরী, চঞ্চল উচ্ছে লতা-
এগোতে থাকে ততদিন, যতদিন না সব কাঁটাতার,সব আড়াল পেরিয়ে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে, বৃষ্টি ফোঁটায় ভিজতে ভিজতে , সূর্যের চোখে চোখ রেখে তারা বলতে পারে, “চলে এলাম তোমার মুখোমুখি হতে”,
আর বাড়িয়ে দেয় ছোট্ট হলুদ ফুল।